হার্টের রোগে ড্রাগের ব্যাবহার ও প্রাকৃতিক চিকিৎসা : স্রষ্টার বিস্ময়কর সৃষ্টি হচ্ছে মানুষের হার্ট বা হৃদয়, একমাত্র প্রকৃতিই একে সচল রাখতে পারে! ২৫০ গ্রাম থেকে ৩৫০ গ্রাম ওজনের একটি মাংশ পিন্ড যা ঠিক বুকের মাঝখানে বসানো এটির মেডিকেল নাম হৃদ, হার্ট বা করোনারী। হার্টের ল্যাটিন শব্দ হচ্ছে করোনারী। লম্বায় ৫ ইন্চি, চওড়া ৩.৫ ইঞ্চি ও পুরত্ব ২.৫ ইঞ্চি মাংশ পিন্ডটি ১ মিনিটে ৭২ বার পাম্প করে ৫ /৬ লিটার রক্তকে সারা দেহ ঘুরিয়ে নিয়ে আসে।

হার্ট থেকে এ রক্ত সারা দেহ ঘুরে পুনরায় হার্ট ফিরে আসে ১ মিনিট সময়ে। এ সময়ে ৫ লিটার রক্ত প্রায় দেড়লাখ কিলোমিটার রক্তনালী পথ অতিক্রম করেছে। এ সময়ের মধ্যে দেহের প্রতিটি অঙ্গের প্রতিটি কোষে অক্সিজেন ও পুষ্টি পৌঁছে দিয়েছে এবং প্রতিটি অঙ্গ কোষে তৈরি বর্জ ফুসফুস ও কিডনিতে প্রেরন করে তা দেহ থেকে বের করে দিয়েছে। এ সব কাজগুলো ঘটেছে ১ মিনিট সময়ের মধ্যে।
হার্টের বিভিন্ন রোগ সমন্ধে জানার আগে এটি কিভাবে এ বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্পাদন করে তা একটু জেনে নেই।
হার্টের ৪ টি কক্ষ বা চেম্বার থাকে। উপরের দুটি চেম্বারকে ‘ এট্রিয়াম’ বা অলিন্দ নিচের দুটি ভ্যান্ট্রিকল বা নিলয় বলে। একটি পর্দা দ্বারা লম্বালম্বি ভাবে বাম এবং ডান চেম্বার অালাদা করা থাকে। এ মেডিকেলের ভাষায় এ পর্দাকে সেপটাম বলে। সেপটামের বাম পাশে বাম অলিন্দ ও বাম নিলয় এবং ডান পাশে ডান অলিন্দ ও ডান নিলয়।
সারা দেহ থেকে রক্ত ডান অলিন্দে প্রবেশ করে এবং ডান অলিন্দ থেকে ডান নিলয়ে প্রবেশ করে। ডান অলিন্দ থেকে ডান নিলয়ে রক্ত প্রবেশের জন্য একটি ছিদ্র অাছে যা একটি টিস্যু দ্বারা বন্ধ থাকে। এ টিস্যুকে মেডিকেলের ভাষায় ট্রাইকাসপিড ভালব বলে। রক্ত ডান নিলয় থেকে ফুসফুসে প্রবেশ করে। ডান নিলয় থেকে ফুসফুসে প্রবেশ পথ একটি ভালব দ্বারা বন্ধ থাকে। এটিকে পালমোনারী ভালব বলে। রক্ত ফুসফুসে প্রবেশের পর ফুসফুসে থাকা অক্সিজেনের সাথে মিশে যায়। এ অক্সিজেন যুক্ত রক্ত ফুসফুস থেকে হার্টের বাম অলিন্দে প্রবেশ করে। তারপর বাম অলিন্দ থেকে বাম নিলয়ে প্রবেশ করে। বাম অলিন্দ থেকে বাম নিলয়ে প্রবেশ পথ একটি ভালব দ্বারা বন্ধ থাকে। এ ভালবটিকে মেডিকেলের ভাষায় মিট্রাল ভালব বলে। রক্ত বাম নিলয়ে প্রবেশের পর মহাধমনী পথে দেহের দিকে ছুটে চলে। বাম নিলয় থেকে মহাধমনী প্রবেশ পথ একটি ভালব (র্এ্যওটিক ভালব) দ্বারা বন্ধ থাকে।

হার্টের ভিতর রক্ত একমুখী হয়ে চলে। রক্তের একমুখী প্রবেশকে ঠিক রাখার জন্য ভালবগুলো কাজ করে। রক্ত পুরো দেহ পরিভ্রমন শেষে আবার হার্টের বাম অলিন্দে প্রবেশ করে।
হার্ট প্রতি মিনিটে ৭০/৭২ টি বিট করে। একটি বিট থেকে পরবর্তী বিটে সময় ব্যবধান মাত্র পয়েন্ট ৮ সেকেন্ড(.৮)। প্রতি বিটে বাম অলিন্দ ও ডান অলিন্দ সংকোচিত হয়। মেডিকেলের ভাষায় এ সংকোচনকে সিসটোল বলে। যে সময়ে অলিন্দ দুটি সংকোচিত থাকে ঠিক সে সময়ে নিলয় দুটি প্রসারিত অবস্থায় থাকে। মেডিকেলের ভাষায় এটিকে ডায়াস্টোল বলে। ঠিক এ ভাবে অলিন্দ দুটি সিসটোল অবস্থায় থাকে তখন নিলয় দুটি ডায়াস্টোল অবস্থায় থাকে। ঠিক বিপরীত অবস্থায় নিলয় দুটি সিসটোল অবস্থায় থাকলে অলিন্দ দুটি ডায়াস্টোল অবস্থায় থাকে। সিসটোল ও ডায়াস্টোল এর সময় পার্থক্য পয়েন্ট ৮ সেকেন্ড।
অলিন্দ দুটির সংকোচন বা সিসটোল এর ফলে রক্ত বাম অলিন্দ থেকে বাম নিলয়ে এবং ডান অলিন্দ থেকে ডান নিলয়ে প্রবেশ করে। নিলয় দুটি সংকোচন এর ফলে বাম নিলয় থেকে রক্ত ফুসফুসে প্রবেশ করে এবং ডান নিলয় থেকে মহাধমনী পথে দেহে ছড়িয়ে পরে।
একটি সুস্থ্য হার্ট জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এ নিয়মে দেহের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া ঠিক রাখে। হার্টের নানা অংশের নানা দুর্বলতার কারনে দেহের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া ব্যহত হয়। এর ফলে দেহ কোষের অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে এবং দেহ কোষে তৈরি বর্জ ঠিকমতো অপসারিত হতে পারেনা।
হার্টের নানা রোগ
এখন হার্টের নানা রোগ নিয়ে এখন আলোচনা করব।
হার্টের একটি অতি পরিচিত রোগের নাম ‘করোনারী আর্টারী ব্লকেজ’। বিষয়টি হার্টের কি ধরনের সমস্যা সে বিষয়ে কথা বলব।
হার্টের রক্ত সঞ্চালন পথ নিয়ে উপরে আলোচনা করেছি। বিস্ময়কর বিষয় হলো এ হার্ট প্রতি মিনিটে ৫/৬ লিটার পাম্প করে দেহের দিকে ছুঁড়ে দেয় আবার ফিরিয়ে আনে। কিন্তু হার্ট পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় রক্ত ধমনী থেকে নিতে হয়। অর্থাৎ ডান নিলয় থেকে রক্ত মহাধমনীতে প্রবেশের পর ঐ মহাধমনী থেকে দুটি শাখাধমনী হৃদপিন্ডের বাম এবং ডান পাশ দিয়ে প্রবেশ করে শাখা প্রশাখায় বিস্তৃত হয়ে সারা হৃদপিন্ডের সর্বত্র ছড়িয়ে পরেছে। বাম পাশের ধমনীকে মেডিকেলের ভাষায় ‘লেফ্ট করোনারী আর্টারী ‘ ডান পাশের ধমনীকে ‘ রাইট করোনারী আর্টারী ‘ বলে। আর্টারী একটি ল্যাটিন শব্দ যার বাংলা অর্থ ধমনী। দেহের ভিতর দুই ধরনের রক্ত চলাচল নালীপথ আছে। হৃদপিন্ড থেকে রক্ত পরিবাহী নালীকে ধমনী এবং দেহের প্রান্তিক লেবেল থেকে হৃদপিন্ডে বহনকারী রক্তনালীকে শিরা বলে।
♦ হৃদপিন্ডের ধমনী পথে কোন বাঁধা তৈরি হলে একে করোনারী আর্টারী ব্লকেজ বলে। আগেই বলেছি হৃদপিন্ড বা হার্টের ল্যাটিন শব্দ হচ্ছে করোনারী।
লেফ্ট করোনারী আর্টারী হৃদপিন্ডের বেশীর ভাগ অংশে রক্ত সরবরাহ করে তাই এ আর্টারীর যে কোন ব্লকেজ হৃদপিন্ডের কাজকে বেশী ব্যহত করে।

♦ কনজেনিটাল হার্ট ডিজিজ হার্টের জন্মগত ত্রুটি। হার্টের কাঠামোয় ছিদ্র বা হার্টের ভিতর রক্ত আসা যাওয়ার বড় রক্তনালীর কাঠামোগত ত্রুটি।
♦ ভালভিউলার হার্ট ডিজিজ এটি হার্টের ভালবের সমস্যা। উপরের অালোচনায় জেনেছি হার্টের ভিতর রক্ত প্রবাহ একমুখী। একমুখী রক্ত প্রবাহ ঠিক রাখা এর কাজ। ভালবের যে কোন অাকৃতিগত পরিবর্তন হার্টের ভিতরের রক্ত প্রবাহের গতিপথকে বিঘ্নিত করে। ফলে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা হয়।
♦ কনজেসটিভ হার্ট ফেইল্যুর হার্টের অলিন্দ বা এট্রিয়াম এবং নিলয় বা ভ্যান্ট্রিকল এর পাম্প করার ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারনে হয়। বিশেষ করে ল্যাফ্ট ভ্যান্ট্রিকল যদি পাম্প না করতে পারে তবে দেহে রক্ত সরবরাহ ব্যাহত হয়। এটি হার্টের একটি মারাত্মক সমস্যা। করোনারী ব্লকেজ বা ভালবের সমস্যা থেকে কনজেসটিভ হার্ট ফেইলুর হয়।
এককথায় হার্টের যে সমস্যাই হোকনা কেন সমস্যাটি হার্টের ভালব, রক্তনালী বা পেশীর সমস্যা থেকে তৈরি হয়।
♦ হার্ট বল্ক হচ্ছে হার্টের কম্পন বা বিটের সমস্যা। সুস্থ্য হার্ট প্রতি মিনিটে ৭০/৭২ টি বিট করে। হার্টের এট্রিয়াম’ বা অলিন্দ থেকে এ বিট শুরু হয় এবং সারা হার্টে ছড়িয়ে পরে। ডান অলিন্দের যে স্থান থেকে এ বিট শুরু সেটিকে সাইনোএট্রিয়াল নোড সংক্ষেপ এসএ নোড বলে। এসএ নোড থেকে এভি (এট্রিওভ্যান্টিকুলার যেটি এট্রিয়াম (অলিন্দ) ও ভ্যান্ট্রকল (নিলয়) এর সংযোগ স্থানে অবস্থিত) নোড এ সিগনাল পৌঁছে। এভি নোড থেকে এটি হৃদপিন্ডের নিলয়ে ছড়িয়ে পড়ে।

এসএ নোড ও এভি নোড হৃদপিন্ডের বিশেষায়িত কোষ দিয়ে তৈরি যেটি বিদ্যুৎ তরঙ্গ সৃষ্টি করে হার্টের সংকোচন প্রসারন ঘটায়। এসএ নোডকে মেডিকেলের ভাষায় প্রাকৃতিক প্যাসমেকার বলে। এ এসএ নোডের অকার্যকারীতা কারনে হার্টের বিট কমে গিয়ে হার্ট ফেইল্যুর হয়।
উপরিউক্ত হার্টের সমস্যা সমাধানে অাধুনিক মেডিকেল চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে একটু অালোচনা করব।
হার্টের যে কোন সমস্যায় কমন যে ড্রাগগুলো ব্যবহার হয় সেগুলো হচ্ছে;
♣ বিটাব্লকার, এমলোডিপিন, এসিই ইনহিবিটর (জেনেরিক নেইম ডাক্তাররা পছন্দের কোম্পানির বাজারী নাম লিখেন) এ ড্রাগগুলো উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করে। কারন অসুস্থ্য হার্ট অতিরিক্ত বিট করলে সমস্যা তীব্র হতে পারে।
♣ ইকোসপ্রিন, ওয়ারফারিন, ক্লোপেডাগ্রেল (জেনেরিক নেইম ডাক্তাররা পছন্দের কোম্পানীর বাজারী নাম লিখেন) রক্ত পাতলা রাখার ড্রাগ। দেহের ভিতর রক্ত যাতে দলা না বাঁধে এ জন্য এটি হার্টের রোগীদের দেয়া হয়।

♣ এটরভাসটাটিন (জেনেরিক নেইম বহু নামে পাওয়া যায়) চর্বি (কোলেষ্টেরল) কমানোর ড্রাগ। অতিরিক্ত কোলেষ্টেরল রক্তনালীতে জমে রক্তনালী সরু করে এতে রক্ত চলাচল বিঘ্ন ঘটে।
♣ ফ্রুসেমাইড (জেনেরিক নেইম) দেহ থেকে পানি বের করার ড্রাগ।
এ ছাড়া এমাইওডেরন ও ডিগক্সিন (জেনেরিক নেইম) এ ড্রাগ দুটি অনিয়মিত হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রন করার জন্য ব্যবহার হয়।
উপরিউক্ত ড্রাগগুলো কোনটি ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার,এড্রেনালিন, এলডোসটেরন হরমোন ব্লকার, সোডিয়াম, পটাসিয়াম ব্লকার। হৃদপেশী অনবরত সংকোচন প্রসারনের মাধ্যমে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া ঠিক রাখে। এ সংকোচন ও প্রসারন এর বিটটা শুরু হয় এসএ নোড থেকে। এসএ নোড (বিশেষায়িত বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোষ) বিদ্যুৎ তৈরি করে। এর ফলে দেহ কোষের বাইরে ও ভিতরে থাকা সোডিয়াম,পটাসিয়াম ও ক্যালসিয়াম একচেন্জ হতে থাকে। এ খনিজগুলোর নিজস্ব বৈদ্যুতিক চার্জ রয়েছে। চার্জের ধর্মানুসারে নেগেটিভ চার্জ পজেটিভ চার্জের দিকে ধাবিত হয়। এ ভাবে চার্জ পরিবর্তনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ তরঙ্গ বাহিত হয় এবং পেশীকোষের সংকোচন ও প্রসারন ঘটে।
ড্রাগগুলো ঐ খনিজগুলোর চলাচল আটকিয়ে দিয়ে অনিয়মিত হৃদস্পন্দন এর গতি নিয়ন্ত্রন করে।
উপরিউক্ত ড্রাগগুলো সকল ধরনের হার্ট ডিজিজ কমন ব্যবহার করা হয়। বিশেষ বিশেষ সিমটোম দমনের জন্য আরও কিছু ড্রাগ ব্যবহার হয়। একটি ড্রাগও মুল সমস্যা সমাধানে কোন ভূমিকা রাখেনা।

করোনারী আার্টারী ব্লকেজ’ এর ক্ষেত্রে ব্লকেজ’ মুক্ত করার জন্য ব্লক স্থানে রিং (স্টেন্ট) পরিয়ে দেয়া হয় উদ্দেশ্য রক্ত চলাচল উন্মুক্ত রাখা। বা বাইপাস করে বিকল্প রক্তনালীর সংযোগ দেয়া হয়। সব কিছুর উদ্দেশ্য হার্টের রক্ত সঞ্চালন পথ খুলে রাখা যাতে হার্টের সর্বত্র রক্ত পৌঁছে যায়।
হার্টের ছিদ্র বন্ধ বা ভালব রিপেয়ারিং বা প্রতিস্থাপন করার জন্য সার্জারীর বিকল্প নেই।
হার্ট বল্কের জন্য দায়ী ন্যাসারাল পেসমেকার এসএ নোড এর পরিবর্তে কৃত্রিম পেসমেকার (যান্ত্রিক ডিভাইস) লাগানো হয়।
এর কোনটিই সমস্যার স্থায়ী সমাধান নয় তবে যদি চিকিৎসায় ভাল না হয় তবে বেঁচে থাকার এটিই বিকল্প।
প্রাকৃতিক চিকিৎসায় জন্মগত ত্রুটি (কনজেনিটাল হার্ট ডিজিজ) ছাড়া অন্য সব সমস্যার প্রাথমিক অবস্থায় সমাধান সম্ভব। কনজেনিটাল হার্ট ডিজিজের কারন গর্ভাবস্থায় মায়ের নিউট্রিশন ঘাটতি, মানসিক চাপ, কিছু ড্রাগ, এলকোহল ও টোবাকোর ব্যবহার।
হৃদপিন্ডের সমস্যার প্রাকৃতিক সমাধান
এখন হৃদপিন্ডের সমস্যার প্রাকৃতিক সমাধান নিয়ে কথা বলব।
হৃদপিন্ডের বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন বিষেশায়িত কোষ দ্বারা তৈরি। হার্ট পেশী কোষের একটি বিষেশ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সংকোচন প্রসারন ক্ষমতা। কোষগুলোর নেটওর্য়াক এমন ভাবে তৈরি যে, একসাথে সকল পেশী কোষ সংকোচন প্রসারন ঘটে। হৃদপেশী কোষকে মেডিকেলের ভাষায় কার্ডওমায়োসাইট বলে। মায়োসাইট খুব ধীরে রিজেনারেট করে। এ জন্য হার্ট মাসেল ক্ষতিগ্রস্ত হলে এর রিপেয়ারিং এ দীর্ঘ সময় নেয়। তবে সঠিক যত্ন নিলে লাইফ টাইম হার্ট ভাল রাখা সম্ভব। ৬ মাসের মধ্যে বিধ্বস্ত মায়োসাইট এর পুর্নবহাল সম্ভব হয়।

হার্ট পেশী কোষ ২৪ ঘন্টা বিরতিহীন ভাবে কাজ করে যায়। তার এ কাজের জন্য প্রয়োজন অক্সিজেন ও পুষ্টি। দেহের অন্যান্য অঙ্গের তুলনায় হার্টে বেশী অক্সিজেন ও পুষ্টির প্রয়োজন হয়। এজন্য করোনারী অার্টারী বল্কেজ হলে হৃদপিন্ডে নানা সমস্যা দেখা দেয়। কারন অক্সিজেন ও পুষ্টি ছাড়া কোষ বাঁচেনা।
প্রতিদিন ১ ঘন্টা এরোবিক ব্যায়াম করে হার্টের অক্সিজেন মাত্রা ঠিক রাখা যায়। সাথে দিতে হবে কোষের অপরিহার্য পুষ্টি।
হার্ট সুস্থ্য রাখার জন্য যা যা খেতে হবে;
♥ মোট খাবারের ৭০% খেতে হবে অর্ধ সিদ্ধ ভেজিটেবল,সালাদ ও ফলমুল।
♥ চর্বি ও প্রোটিন ৩০%
♥ ৬/৮ গ্রাম স্পাইরুনিলা ও ২ গ্রাম ওমেগা, ৩০ গ্রাম সোয়ােপ্রোটিন খেলে কোষ ভাল থাকে।

♥ কোষ রিজেনারেটিং বিশেষায়িত ন্যাচারাল মেডিসিন।
♥ এ টু জেড ভিটামিনস ও মিনারেল খেতে হবে।
যে খাদ্যে খাওয়া চলবে না;
♠ পশুর মাংশ খাওয়া যাবেনা।
♠ এলকোহল ও টোবাকো।

♠ বেকারী ফুড।
♠ অতিরিক্ত চিনি ও লবন।
একসময় মনে করা হতো বিধস্ত হৃদ কখনো পুর্নগঠিত হয়না। সম্প্রতি গবেষনায় জানা গেছে হৃদপিন্ড ৬ মাসের মধ্যে নিজেকে সারিয়ে তুলে। বিকল্প আর্টারী তৈরি করে হার্টের রক্ত চলাচল ঠিক রাখে।